শনিবার (৪ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড কনফারেন্স রুমে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। এ সময় তিনি বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “নির্বাচন নিয়ে এত অস্থির হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই,” এবং গত ৫৩ বছরে ক্ষমতায় থাকা কেউই জনগণের চাহিদা পূরণ করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিস, গণ-অধিকার পরিষদ, জাতীয় নাগরিক কমিটি, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ইসলামী সংগঠনের নেতারা।
চরমোনাই পীর অভিযোগ করেন, যেসব সরকার ক্ষমতায় ছিল, তারা সব সময় ভারতের দালালি করেছে এবং এখন যারা ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে, তারাও একই পথে হাঁটছে। তিনি বলেন, এসব নেতারা জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে এবং দেশকে স্বাধীনভাবে এবং সুন্দরভাবে বাসযোগ্য করতে হলে চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, রাজনীতি ইসলামের কল্যাণ, মানবতা এবং দেশপ্রেমের জন্য হওয়া উচিত, তবে তিনি দাবি করেন, ক্ষমতার জন্য কিছু দল নিজেদের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কখনও সংসদে প্রতিনিধি পাঠায়নি, কারণ তারা ক্ষমতার রাজনীতি থেকে দূরে থাকে।
চরমোনাই পীর আরও অভিযোগ করেন যে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ইসলামী আন্দোলনের ভূমিকা উপেক্ষা করছে এবং হুঁশিয়ারি দেন, যদি ইসলামী আন্দোলনকে গুরুত্ব না দেওয়া হয়, তবে তারা মুখ খুলতে বাধ্য হবে।
এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম চট্টগ্রামকে ঘিরে চলমান অপচেষ্টা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভাজন সৃষ্টির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নিরাপদ রাখা গেলে বাংলাদেশ নিরাপদ থাকবে।
সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ জানান, ভারতীয় এজেন্ডার মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচনগুলো পরিচালিত হচ্ছে এবং তিনি ভারতীয় আধিপত্য ঠেকাতে সব রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম আমির শাহজাহান চৌধুরী, গণ-অধিকার পরিষদ ও হেফাজতে ইসলামের নেতারা, যারা আওয়ামী লীগের শাসনের সমালোচনা করেন এবং তাদের ওপর ভারতীয় প্রভাবের অভিযোগ তোলেন।
Leave a Reply