1. admin@nagoriknewsbd.com : admin :
  2. hossainkamrul92@gmail.com : Kamrul Hossain : Kamrul Hossain
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
সাংবাদিক হোছাইন আব্বাসের উপর হামলা-গ্রেপ্তার ১ ডিসি হিলে হামলা উগ্রতা ও সংস্কৃতির প্রতি আঘাত সাঙ্গু নদী ও শীলঘাটা: এক অমর ভালোবাসার গল্প চট্টগ্রামে দুদকের জালে প্রকৌশলী ও ডাক্তার দম্পতি সাতকানিয়ায় সুবীর চক্রবর্তী হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন “স্বাধীনতা দিবসের আগে চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল” “স্বাধীনতা দিবসের আগে চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল” মাস্টারদা সৃর্য সেন’র জন্মদিনে পুস্পিত শ্রদ্ধাঞ্জলি চকরিয়ায় দুই টিসিবির ডিলার নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত – কর্মকর্তাদের সন্তোষ প্রকাশ নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
শিরোনাম :
সাংবাদিক হোছাইন আব্বাসের উপর হামলা-গ্রেপ্তার ১ ডিসি হিলে হামলা উগ্রতা ও সংস্কৃতির প্রতি আঘাত সাঙ্গু নদী ও শীলঘাটা: এক অমর ভালোবাসার গল্প চট্টগ্রামে দুদকের জালে প্রকৌশলী ও ডাক্তার দম্পতি সাতকানিয়ায় সুবীর চক্রবর্তী হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন “স্বাধীনতা দিবসের আগে চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল” “স্বাধীনতা দিবসের আগে চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল” মাস্টারদা সৃর্য সেন’র জন্মদিনে পুস্পিত শ্রদ্ধাঞ্জলি চকরিয়ায় দুই টিসিবির ডিলার নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত – কর্মকর্তাদের সন্তোষ প্রকাশ নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর ডেন-২ ধরন সনাক্ত

  • শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪

চট্টগ্রামে পাওয়া গেছে ডেন-২ ধরনের ডেঙ্গু ভাইরাস। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ৮৮ ভাগ রোগীর মধ্যেই ১১ ভাগ রোগীর মধ্যে পাওয়া গেছে ডেন-৩ ধরন।

এসপেরিয়া হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে আইসিডিডিআরবি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ একটি গবেষণায় দেখা গেছে ৫০ ভাগ রোগীর মাঝেই বিপজ্জনক কসমোপলিটান ধরন উপস্থিত, যা রোগের তীব্রতা ও জটিলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। গত দুই বছর ধরে চট্টগ্রামের ডেঙ্গু রোগীদের নিয়ে চলমান গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণায় আরো দেখা যায়, ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬৯ ভাগ রোগীই ‘ডেন ২’ সেরোটাইপে আক্রান্ত ছিল, আর এই বছর ৮৮ ভাগ রোগী ‘ডেন ২’ তে আক্রান্ত। গত বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ ছিল পুরুষ, ডেঙ্গু রোগীদের প্রতি পাঁচজনে একজন ছিল শিশু।

এছাড়াও চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি এলাকাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের ৬০ শতাংশ ডেঙ্গু রোগীর আবাসস্থল পাঁচটি এলাকায়, যেগুলোকে গবেষকরা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এলাকাগুলো হলো- বাকলিয়া, চকবাজার, কোতয়ালী, ডবলমুরিং এবং বায়েজিদ বোস্তামী। গ্রামাঞ্চলের মধ্যে সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী, পটিয়া, বোয়ালখালী এবং কর্ণফুলী এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে।

গত বছর ১৫০০ রোগীর ওপর পরিচালিত এই গবেষণায় ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন ও পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি বিভাগ, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, বিআইটিআইডি, আইসিডিডিআর,বি এবং নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং, রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন ল্যাব। পুরো গবেষণার সমন্বয় ও তত্ত্বাবধানে ছিল স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এসপেরিয়া হেলথ রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন।

এ বছর ২০০ রোগীর তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং গবেষণা এখনও চলমান। চট্টগ্রামে পাওয়া কসমোপলিটান লিনিয়েজ বাংলাদেশে একেবারেই নতুন। দেশের অন্য সব অঞ্চল থেকে পাওয়া ইতিপূর্বের ধরনগুলো থেকে চট্টগ্রামে পাওয়া ধরনটি উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন। ফাইলোজেনেটিক বিন্যাস তথা তুলনামুলক বিশ্লেষণে পাওয়া যায়, এই ধরনগুলো মিয়ানমার ও ভারতে প্রবাহিত হচ্ছে।

গবেষকরা ধারণা করছেন, পর্যটক ও রোহিংগা অনুপ্রবেশকারীদের মাধ্যমে এই বিপজ্জনক ধরনটি দেশে অনুপ্রবেশ করেছে। এই ধরন ডেঙ্গুর তীব্রতা ও মৃত্যুহার বাড়িয়ে দেয়। জিনোম সিকুয়েন্সগুলো জিনোমের উন্মুক্ত বৈশ্বিক তথ্যভাণ্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএআইডি)-তে গৃহিত হয়েছে। এছাড়াও দুইটি গবেষণাপত্র ইতিমধ্যে ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি এবং আমেরিকান জার্নাল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিনে গৃহিত হয়েছে।

২০২৪ সালে চলমান এই প্রকল্পে আইসিডিডিআরবি’র বিজ্ঞানী ড. মুস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত চট্টগ্রাম অঞ্চলে গবেষণা দলে আছেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম এ সাত্তার ও ডা. আবুল ফয়সাল মো. নুরুদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান এবং এসপেরিয়া হেলথ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক ডা. মো. আবদুর রব।

গবেষকরা জানান, ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার কারণ অনুসন্ধান ও নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য জিনোম সিকুয়েন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব তথ্য গুরুত্ব সহকারে সরকার গ্রহণ করলে, পরবর্তী বছরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে অগ্রিম ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর দেখুন...
© All rights reserved © 2024 nagoriknewsbd
Theme Customized By BreakingNews