হোয়াইট হাউস প্রকাশিথ নথিতে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে গঠিত কোয়াডের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তায় নয়াদিল্লির অব্যাহত সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর কূটনৈতিক গুরুত্ব দেয়ার কথা উল্লেখ করে নথিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের ভারতের সাথে বাণিজ্যিক (এবং অন্যান্য) সম্পর্ক উন্নত করতে হবে।’
নথিতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে ‘বিশ্বের মোট জিডিপির প্রায় অর্ধেকের উৎস’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে এবং আগামী শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্র বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র ও অংশীদারদের সাথে (যাদের সম্মিলিত অর্থনীতির আকার ৬৫ ট্রিলিয়ন ডলার) কাজ করবে। অঞ্চলজুড়ে ‘শোষণমূলক অর্থনৈতিক আচরণ’ মোকাবিলায় এ সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যও তুলে ধরা হয়েছে নথিতে।
এছাড়া নথিতে কোয়াডের মাধ্যমে চতুর্মুখী সহযোগিতার প্রতি মার্কিন অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে, যা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা কাঠামো হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
‘মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল’ বজায় রাখার জন্য এবং গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র পথে নৌচলাচলের স্বাধীনতা সংরক্ষণের জন্য ওয়াশিংটন এই গ্রুপটিকে অপরিহার্য হিসেবে দেখছে।