দুইদিনের সফরে গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভারতে পৌঁছান পুতিন। ওইদিন দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আফগানিস্তান নিয়েও কথা বলেন তিনি।
পুতিন বলেন, ‘তালেবানরা আফগানিস্তানের পরিস্থিতি স্পষ্টভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। আপনাকে এটা মেনে নিতে হবে, কারণ এটাই বাস্তবতা। দ্বিতীয়ত, যা লক্ষণীয় তা হল আফগান সরকার সন্ত্রাসবাদ এবং আইএসআইএল এবং তাদের মতো অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়।’
এদিকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের কাবুল-মস্কো সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে পাকিস্তানে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেছেন।
আফগান দূতাবাসের এক বিবৃতি মতে, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলবার্ট খোরেভ বলেছেন, তার দেশ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতা জোরদারে ‘দায়িত্বশীল ও ইতিবাচক’ ভূমিকা পালন করতে চায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জুহুরুদ্দিন জহির বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক আদান-প্রদান চলছে এবং রাশিয়া তালেবান সরকারের স্বীকৃতির পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন বুঝতে পেরেছেন যে, আফগানিস্তান চার বছরেরও বেশি সময় ধরে নিরাপত্তার ব্যাপারে ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।‘
আরেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইদ্রিস মোহাম্মদী জাজাই বলেন, ‘এটি এমন কিছু যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও মেনে নিতে হবে। বিশ্বের বোঝা উচিত যে এইভাবে ইসলামিক আমিরাতের সাথে তাদেরও যোগাযোগ করা দরকার।’
রাশিয়া প্রথম দেশ যারা আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং কাবুলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আফগানিস্তান মনে করে, রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কের সম্প্রসারণ উভয় দেশের জন্যই লাভজনক।