আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কাছে রাজনৈতিক দল এবং তাদের প্রতীক সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে। দেশের ৫১ শতাংশ মানুষ সংসদীয় নির্বাচনে দল ও তাদের প্রতীক দেখে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন।
জরিপে বেশ কিছু বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়। এর মধ্যে একটি প্রশ্ন ছিল, ভোট দেওয়ার সময় কোন বিষয়টি আপনার বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়/ পাবে? মতামতে উঠে এসেছে, ৫১ শতাংশ মানুষ রাজনৈতিক দল বা প্রতীক দেখে ভোট দেবেন। ১৭ দশমিক ৪০ মানুষ প্রার্থীর আচরণ বা ব্যবহার দেখে, ১৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রার্থীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখে এবং ১০ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ প্রার্থীর সততা দেখে ভোট দেবেন।

জরিপে দেশের ৫টি নগর ও ৫টি গ্রাম বা আধা শহরাঞ্চলের প্রাপ্তবয়স্ক (১৮-৫৫ বছর) ১ হাজার ৩৪২ জনের মতামত নেওয়া হয়। এর মধ্যে পুরুষ ৬৭৪ জন, নারী ৬৬৮ জন। জরিপে অংশ নেওয়া মানুষেরা বিভিন্ন আয়, শ্রেণি ও পেশার। গত ২১ থেকে ২৮ অক্টোবর জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
জরিপকারী প্রতিষ্ঠান বলেছে, এটি একটি মতামত জরিপ। এটা দেশের প্রতিনিধিত্বমূলক জরিপ, তবে নির্দিষ্টভাবে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করে না। জরিপের নমুনা এমন মানুষদেরই তুলে ধরেছে, যাঁরা অনলাইন অথবা ছাপা পত্রিকা পড়তে পারেন এবং আগামী নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জরিপের ফলাফলের নির্ভরযোগ্যতার (কনফিডেন্স লেভেল) মাত্রা ৯৯ শতাংশ।
জরিপে নানা বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এতে উঠে এসেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে—এ বিষয়ে আশাবাদী মানুষ ৫০ শতাংশের কিছু বেশি। প্রায় ৩৪ শতাংশ হতাশার কথা জানিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে যাবেন প্রায় ৯২ শতাংশ মানুষ।
জরিপে একটি প্রশ্ন ছিল, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর নারী প্রার্থীদের সরাসরি ভোটে দাঁড়ানোর জন্য কেমন সংখ্যায় মনোনয়ন দেওয়া উচিত বলে মনে করেন। উত্তরে ৫৩ শতাংশের কিছু বেশি মানুষ বলেছেন, আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর আগের সমানসংখ্যক নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া উচিত। কিছুটা বেশি সংখ্যায় মনোনয়ন দেওয়ার পক্ষে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ, আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে মনোনয়ন দেওয়ার পক্ষে ১ দশমিক ২ শতাংশ উত্তরদাতা। অন্যদিকে আগের চেয়ে কম পরিমাণে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার পক্ষে ২৬ শতাংশ এবং নারী প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন ৮ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ।