ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফুটবলের প্রতি অন্যরকম আবেগ কাজ করে বাঙালির। আর এই আবেগ পুঁজি করেই ব্যবসা করতে তৎপর নামধারী কিছু সংগঠক। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কাফু-ক্যানেজিয়া আসবে বলে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে শোরগোল। লাতিন বাংলা সুপার কাপ শেষ হতে চললেও তাদের দেখা নেই।
শুধু কাফু-ক্যানেজিয়ার মতো কিংবদন্তি নয়। আয়োজকরা প্রচারণা চালায় নগরবাউল জেমসকে নিয়েও। বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনা ম্যাচের আগে পারফর্ম করার কথা ছিলো এই রকস্টারের। জাতীয় স্টেডিয়াম গিয়ে তারও খোঁজ মেলেনি। মোট কথা টুর্নামেন্টের সস্তা প্রচারণার জন্য আয়োজকরা নেয় মিথ্যার আশ্রয়।
লাতিন-বাংলা সুপার কাপের আয়োজক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আগামীকাল সকাল পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব। টু বি অনেস্ট ব্যাপারটা পুরোপুরি ফিন্যান্সিয়াল, এখানে লুকোচুরির কিছু নেই। আমাদের কাছে স্পন্সর নেই। আমরা স্পন্সরের জন্য অপেক্ষা করছি, যদি স্পন্সর মিলে যায় আমরা এদের শতভাগ আনছি।
জেমসের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো টেকনিক্যাল ইস্যু দাঁড়িয়ে গেছে।’
শুধু মাত্র অতিথিদের ক্ষেত্রেই কথা ও কাজের গড়মিল নয়। অসঙ্গতি ধরা পড়েছে ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রেও। বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনা ম্যাচ মাঠে গড়ায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৭ মিনিট পর। গুঞ্জন আছে রেফারিরা পেমেন্ট না পাওয়ায় ম্যাচ পরিচালনা করতে অস্বীকৃতি জানালে তৈরি হয় এমন পরিস্থিতি। যদিও তা অস্বীকার করেছে সংশ্লিষ্টরা।
আয়োজক বলেন, ‘বাংলাদেশ টিম অবশ্যই বাফুফের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কিন্তু ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা টাকার বিনিময়েই..তারা (রেফারি) নামতে দেরি করছিল, আমি জানি না কেনো, এটাই। এছাড়া টাকা পয়সা নিয়ে আমাদের অন্তত এই মাঠের যতটুকু, যা কিছু লাগে, আলাদা বাকবিতণ্ডা হয়নি।
চরম অব্যবস্থাপনার এই টুর্নামেন্টে গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ সংগ্রহ করতে এসে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে।
একটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে দেশের ভাবমূতি। যেনতেন কারো কাছে আয়োজক স্বত্ব দেয়ার আগে অবশ্যই ভাবা উচিৎ কর্তা ব্যক্তিদের। নিশ্চয়ই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে ফেডারেশন।