1. admin@nagoriknewsbd.com : admin :
  2. hossainkamrul92@gmail.com : Kamrul Hossain : Kamrul Hossain
রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:১৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
চট্টগ্রামে প্লাস্টিক পণ্যের গুদামে ভয়াবহ আগুন ভালবাসা দিবস: প্রেম ও সম্পর্কের অমলিন ঐতিহ্য চট্টগ্রামে বসন্তবরণ: আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা বাঙালি চট্টগ্রামে ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় সাবেক সিএমপি কমিশনার গ্রেপ্তার পাঁচলাইশে ড্যান্স পার্টিতে পুলিশের অভিযান: ২৫ জন গ্রেপ্তার মাঘী পূর্ণিমা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য, ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উদ্বেগ মাদক ও টিকিট কালোবাজারের সাথে জড়িত রেলের চিফ ইন্সপেক্টর আমান ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার চট্টগ্রামে সড়ক সংস্কারে গতি আনতে কড়া নির্দেশনা মেয়রের সিইপিজেডে প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলে শ্রমিক বিক্ষোভ
শিরোনাম :
চট্টগ্রামে প্লাস্টিক পণ্যের গুদামে ভয়াবহ আগুন ভালবাসা দিবস: প্রেম ও সম্পর্কের অমলিন ঐতিহ্য চট্টগ্রামে বসন্তবরণ: আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা বাঙালি চট্টগ্রামে ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় সাবেক সিএমপি কমিশনার গ্রেপ্তার পাঁচলাইশে ড্যান্স পার্টিতে পুলিশের অভিযান: ২৫ জন গ্রেপ্তার মাঘী পূর্ণিমা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য, ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উদ্বেগ মাদক ও টিকিট কালোবাজারের সাথে জড়িত রেলের চিফ ইন্সপেক্টর আমান ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার চট্টগ্রামে সড়ক সংস্কারে গতি আনতে কড়া নির্দেশনা মেয়রের সিইপিজেডে প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলে শ্রমিক বিক্ষোভ

কনটেইনার হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের রাজস্ব বহুলাংশে বেড়ে গেছে-ব্যবস্থাপনা পরিচালক,সাইফ পাওয়ারটেক

  • সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সাম্প্রতিক সময়ে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এর বিরুদ্ধে প্রচারিত মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির উদ্ধতন কতৃপক্ষ

 চট্টগ্রাম প্রতিনিধি  :চট্টগ্রাম বন্দরের বেসরকারি নিউমুরিং টার্মিনাল অপারেটর হিসেবে কাজ করে সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন। এরই মধ্যে বন্দর নিয়ে কুড়িয়েছেন ভূয়সী প্রশংসা । দেশ—বিদেশে নিষ্ঠাবান উদ্যোক্তা ব্যব সা ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাঁর সুনাম আজ বিস্তৃত। সমাজসেবা ও গরীব—দুঃখী মানুষের কল্যাণে তরফদার মো. রহুল আমিনের অবদান রীতিমত শ্রদ্ধা জাগানিয়া পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশের যে প্রান্তে মানুষের কষ্টের খবর তাঁর কাছে পৌঁছায়, তিনি সেখানেই হাত বাড়ান সহযোগিতার। খাদ্য, বস্ত্র, ওষুধসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহযোগীতা নিয়ে তাঁর সাইফ পাওয়ারটেক গ্রুপ হাজির থাকে সবসময়। অসংখ্য সামাজিক—মানবিক সংগঠন এই মানুষটির সহায়তা পায় নিয়মিত। স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মন্দিরে তিনি দান করেন অকাতরে।
সাম্প্রতিক সময়ে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এর বিরুদ্ধে প্রচারিত মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির উদ্ধতন কতৃপক্ষ।
সূত্রে জানা যায় ,প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব তরফদার মোঃ রহুল আমিনকে নিয়ে দেশ টিভি কর্তৃক প্রচারিত এবং দুই-একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড ও প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের যে বক্তব্যসমূহ উপস্থাপিত হয়েছে, তা শুধুই মিথ্যাচার নয়, সেই সাথে বন্দর ব্যবস্থাপনার সংস্কার ও উন্নয়নের একমাত্র রূপকার সৎ , নির্ভীক জনাব তরফদার মোঃ রুহুল আমিন এর সুদক্ষ নেতৃত্বে ও ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এর অর্জিত দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সুনাম ভীষণভাবে ক্ষুণ্ণ করেছেনা বলে ও জানান কতৃপক্ষ ।

বন্দর সূত্রে জানা যায় ,সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড ২০০৬ সালের ০৫/০৮/২০০৬ ইং তারিখ হতে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের ৪টি গ্যান্ট্রি ক্রেন দ্বারা কন্টেইনার হ্যান্ডলিং অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করেন। এর পরপরই তৎকালীন মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং শ্রমিক লীগ জোরপূর্বক এসপি এল-কে বন্দর হতে বের করে দেয়। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে অপারেশন কার্যক্রম ১৪/১১/২০০৬ হতে ২৯/১১/২০০৬ ইং পর্যন্ত শ্রমিক আন্দোলনের নামে অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দেশের আমদানি-রপ্তানিতে মারাত্মক ধস পড়ে। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে মার্চ মাসে তৎকালীন সরকার ও যৌথবাহিনী বন্দরের পুরাতন স্টিভিডোর প্রথাকে বন্ধ করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত টার্মিনাল ও বার্থ অপারেটিং সিস্টেম চালু করে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডকে পুনরায় বন্দর ৪টি গ্যান্ট্রি ক্রেন অপারেশনসহ টার্মিনালের সমস্ত কাজকে একীভূত করে ইন্টিগ্রেটেড অপারেশনের আওতায় এনে টার্মিনাল অপারেশনের দায়িত্ব দেয়। পূর্ববর্তী সময়ে যেখানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অপারেটর দ্বারা ঘন্টায় ১০-১২টি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হতো, জাহাজের গড় অবস্থান ১২-১৫ দিন ছিল, সেখানে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড বিদেশ হতে আনীত দক্ষ অপারেটর দ্বারা ঘণ্টায় ২৫-৩০টি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করার ফলে জাহাজের গড় অবস্থান ৭২ ঘন্টা বা ৩ দিনের মধ্যে চলে আসে। ফলশ্রুতিতে, শুধু বাংলাদেশেই নয় এশিয়া মহাদেশের ভেতরে চট্টগ্রাম বন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হিসেবে স্থান পায় এবং বন্দরের তথা দেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের অবদান অনস্বীকার্য। সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড দেশের শতভাগ মালিকানাধীন একটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান। এছাড়া, সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা ও টার্মিনাল অপারেটর হিসেবে একমাত্র আইএসও সাটিফাইড দেশীয় প্রতিষ্ঠান। এছাড়া, ২০০৭ হতে ২০২৪ পর্যন্ত সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড ২০ মিলিয়ন টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করার রেকর্ড অর্জন করেছে যা একটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য মাইলফলক।
এছাড়া, চট্টগ্রাম বন্দরের ২০২৩ সালে মোট ১০ কোটি টন কার্গো হ্যান্ডলিং করা হয় তার মধ্যে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড ২ কোটি ২৫ লাখ টন কার্গো হ্যান্ডলিং করে। শতকরা হিসাবে বা ২২.৫%। এছাড়া একই বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়। যার মধ্যে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড ১৬ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করে। যা শতকরা হিসাবে ৫৩.৩৩%। সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড বছরে ১৪০-১৫০ কোটি টাকার কাজ করে, যার মধ্যে ৮৫-৯০ ভাগ টাকা শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা, অফিস- ব্যবস্থাপনা, বিভিন্ন ইক্যুইপমেন্ট, জ্বালানি, ভারী যন্ত্রাংশ সমূহের রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যান্য কাজে ব্যয় হয়। সুতরাং, ১০ হাজার কোটি টাকা বন্দর হতে সাইফ পাওয়ারটেক নিয়ে গিয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হয়, তা শুধু মিথ্যাচারই নয়, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও মানহানিকর বলে মন্তব্য করেন।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বারবার চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সম্পর্কের কথা বলা। হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য। চট্টগ্রামের যেসব আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতাদের কথা বলা হয়েছে, তারা বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। নোয়াখালীর একরামুল করিম চৌধুরী বন্দরে ব্যবসা করে যাচ্ছেন বিগত ২৫/৩০ বছর বা তারও আগে হতে। আর সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাসির উদ্দিন বন্দরে ২টি বার্থ এবং ২টি শিল্প-হ্যান্ডলিং ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। যেখানে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। শুধুমাত্র এনসিটি টার্মিনালের ১টি বার্থে অনপেমেন্টে প্রাইম মুভার ও শ্রমিক সরবরাহের কাজ করে। এছাড়া, বন্দর-পতো আসনের আওয়ামী লীগের এমপি থাকাকালীন এম এ লতিফ বন্দরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে আসতেন। সেখানে টার্মিনাল অপারেটর ও বার্থ অপারেটর এর মালিকশন আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে থাকতেন। সেই হিসেবে উনাদের পাশে ছবিতে তাকে দেখা গিয়েছে। এছাড়া, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান এর সহিত যে ছবিটি দেখানো হয়েছে সেটি হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের বন্দর দিবসের অনুষ্ঠানের ছবি। সেখানে বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বন্দরের সকল অপারেটর ও ব্যবহারকারীগণ ছোটখাটো স্টল দিয়ে তাদের কার্যাদিসমূহ প্রদর্শন করেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাত দিয়ে জানান , শেখ রেহানা বা শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ক্যাশিয়ার হিসেবে যে অভিযোগ করা হয়, তা শুধু মিথ্যাচারই নয়, সেই সাথে বন্দর ব্যবস্থাপনার সংস্কার ও উন্নয়নের একমাত্র রূপকার, সৎ ও নির্ভীক জনাব তরফদার মোঃ রুহুল আমিন এর সুদক্ষ নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এর অর্জিত দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সুনাম ভীষণভাবে ক্ষুন্ন করেছে। তরফদার মোঃ রুহুল আমিন এর সাথে কখনো শেখ রেহানা বা শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে কথা বলা দূরে থাকন, কখনো দেখাও হয়নি। তাছাড়া, গত ১৫ বছরের সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব তরফদার মোঃ রুহুল আমিনের উপর এবং তার প্রতিষ্ঠানের উপর বিগত সরকারের আমলে যে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত করা হয়, সেই ব্যাপারে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেখানেও তিনি যেন ঢুকতে না পারেন সেই ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া ছিল সালমান এফ রহমানের।
২০১৮ সালে তৎকালীন সরকারের বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এর সহায়তায় এবং সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে এবং বাংলাদেশের টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বর্তমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নতুন সরকার ক্ষমতায় না এলে এতদিনে হয়তো নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়া হত।
আরো জানা যায় , সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড ও এর মালিক পক্ষের নামে দুবাইতে কোন ক্রয়কৃত ফ্ল্যাট নেই। সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এর ১০০% মালিকানাধীন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান দুবাইতে সাধারণ ভাড়াকৃত অফিসে তাহার ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে। উক্ত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের গত ২৩/০৬/২০১২ইং তারিখের অনুমোদনসহ, বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন এর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ১৬/০৬/২০১২ইং তারিখের পত্র মারফত অবহিত করা হয় ও অনুমোদনসহ দুবাই এর সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত। দুবাই ভিত্তিক কোম্পানীর আয়-ব্যয়ের সকল নিরীক্ষিত তথ্য সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এর নিরীক্ষিত বার্ষিক রিপোর্টে দেখানো আছে, যাহা সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এর ওয়েবসাইটে উল্লেখিত আছে। উক্ত ব্যবসা হইতে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা। বাংলাদেশে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আনা হয়। সুতরাং যা উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এই ধরনের তথ্যের কারণে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের সুদীর্ঘ দিনের অর্জিত ব্যবসায়িক সুনাম দেশে এবং বিদেশে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এছাড়া, পূর্বাচলে ২টি প্লট ক্রয় করা আছে যা সাইফ পাওয়ারটেক লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ট্যাক্স ফাইলে দেখানো আছে। এ ছাড়াও কোম্পানীর নামে ক্রয়কৃত সকল সম্পত্তি কোম্পানীর বার্ষিক নিরীক্ষিত রিপোর্টে উল্লেখ আছে।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে কথা হলে সাইফ পাওয়ারটেক লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান , ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ যখন জাপান থেকে গ্যান্ট্রি ক্রেন ক্রয় করে তখন জাপানের মিৎসুবিশি ও সুমোটোমো কোম্পানির এ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং আমাদের প্রতিষ্ঠান এ কোম্পানির স্থানীয় কনট্রাক্টর হিসেবে কাজ করেছিলাম। চুক্তি ছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ গ্যান্ট্রি ক্রেন চালু করলে এ কাজের মেনটেইন্যান্স করব আমরা, অপারেশন করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই অপারেশনও সুপারভাইজ করবে আমাদের প্রতিষ্ঠান বিদেশি বিশেষজ্ঞ দিয়ে। এ সময় বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেদের অপারেটর দিয়ে গ্যান্ট্রি ক্রেন চালানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু আধুনিক এসব গ্যান্ট্রি ক্রেন চালানোর মত অভিজ্ঞতা না থাকায় বন্দর কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়। পরে এ কাজের জন্য ওপেন টেন্ডার আহ্বান করে প্রাইভেট অপারেশনে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারের সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাদের প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স সাইফ পাওয়ার টেক’ দুবাই পোর্টসহ বিশ্বের বিভিন্ন বন্দরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অপারেটর এনে গ্যান্ট্রি ক্রেন অপারেশন চালু করেছিলাম। এবং সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা পরে টার্মিনাল অপারেটর হিসেবে কাজ শুরু করি।
তিনি আরো বলেন, ২০০৭ সালের মার্চ মাসে যখন আমরা অপারেটর হিসেবে অপারেশন শুরু করি এর আগে যেখানে চট্টগ্রাম বন্দরের চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনালে তখন বছরে ২ লাখ ১০ হাজার টিইউএস কনটেইনার উঠানামা হতো। আমরা দায়িত্ব নেয়ার এক বছরের মাথায় এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে প্রথম দিকে সাড়ে ৩ লাখ থেকে পৌনে চার লাখ এবং পরে এ সংখ্যা বৃদ্ধি করে দ্বিগুণেরও বেশি পাঁচ লাখ টিইউএসে উন্নীত করতে সক্ষম হই। ২০২২এর অক্টোবর পর্যন্ত ১৪২৪৯৩৯ টিইউএস। সংখ্যা বৃদ্ধি গুণ হওয়ার কারণে আমদানি রফতানিকারকরা তাদের পণ্য দ্রুত রফতানি ও খালাস করতে পারছেন। চট্টগ্রাম বন্দরের রাজস্ব আয়ও এর ফলে বেড়েছে। আমি বলব চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় পরিবর্তন। এক কথায় আগের ধীরগতির কাজ আর নেই। বলতে পারেন আমরা বন্দরের চেহারা বদলে দিয়েছি।
চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে কলকাতা কিংবা শ্রীলংকার বন্দরের মতো এন্ডিং বন্দর। এটা সিঙ্গাপুর বন্দরের মতো কোনো ট্রানজিট বন্দর নয়। অবকাঠামোগত কারণে এখানে কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমনÑ চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের একটি প্রধান সমুদ্রবন্দর। দেশের ৯০ শতাংশ আমদানি-রফতানি পণ্যই এ বন্দর দিয়ে উঠানামা করে থাকে। এখানে যেসব পণ্য আসে সেগুলো আর অন্য কোনো দেশে ট্রান্সশিপমেন্ট হয় না। সিঙ্গাপুর বন্দর বিশ্বের একটি ট্রান্সশিপমেন্ট হাব এবং চট্টগ্রাম বন্দরকে এর সঙ্গে তুলনা করলে চলবে না। তবে বর্তমান সরকার জাতীয় প্রবৃদ্ধির সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তাছাড়া এখন বন্দরের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো।
সব মিলিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ার টেক চট্টগ্রাম বন্দরের মোট কনটেইনার উঠানামার ৬০ ভাগ কনটেইনারই হ্যান্ডলিং করছে সফলতার সঙ্গে। কনটেইনার হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের রাজস্ব বহুলাংশে বেড়ে গেছে যা বাংলাদেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধির হারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর দেখুন...
© All rights reserved © 2024 nagoriknewsbd
Theme Customized By BreakingNews