চট্টগ্রাম ব্যুরো :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার আলামগীর চৌধুরীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
চট্টগ্রাম মহানগর মেট্রোপলিটন–১ আদালতের বিজ্ঞ হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিকী সোমবার (২৫ আগস্ট) মামলার শুনানি শেষে এ পরোয়ানা জারি করেন। মামলাটি করেছিলেন সানিয়া আলম শেলীগং (মামলা নং-১২৮৪/২২)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সরকারি নথিতে ঘষামাজা, জাল জালিয়াতি এবং দলিল সৃষ্টি করে পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। পেনাল কোডের ৪০৬, ৪২০, ৪৬৬, ৪৬৭, ৪৭১, ৫০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, জন্মের ১৭ বছর আগে অর্থাৎ ব্রিটিশ আমলে ১৯৩৫ সালের ১৪ আগস্ট আলামগীর চৌধুরী চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার নিজ গ্রাম পোমরায় ৪ একর ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন বলে জাল নথি তৈরি করা হয়। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান আমলে ১৯৪৮ ও ১৯৪৯ সালে তিনি আরও একাধিক দাগে জমি ও পুকুর ক্রয় করেছেন বলে সরকারি রেকর্ডে দেখানো হয়েছে। এসব নথিতে তার কয়েকজন নিকটাত্মীয় ও স্বজনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাদের বয়স আলামগীর চৌধুরীর চেয়ে কম।
তবে আদালত সূত্রের দাবি, ১৯৩৫ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত সময়ে জমি কেনার আসল মালিক ছিলেন আলামগীরের বাবা ছৈয়দুল আলম চৌধুরী। ভূমি অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বাবার কেনা জমিতে নিজের নাম বসান আলামগীর চৌধুরী।
ছৈয়দুল আলম চৌধুরীর দুই স্ত্রী ছিলেন। প্রথম স্ত্রীর সন্তান আলামগীর চৌধুরী। দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান চৌধুরী সানিয়া আলম শেলী আদালতে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করেন, বাবার সম্পদ থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের বঞ্চিত করতে ইচ্ছাকৃতভাবে আলামগীর চৌধুরী জাল নথি তৈরি ও ব্যাপক অনিয়ম করেছেন।
Leave a Reply