চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বিজিএমইএ চট্টগ্রাম অঞ্চলের নেতারা। সভায় পোশাক শিল্পের পণ্য দ্রুত খালাস এবং ক্রেতার নির্ধারিত সময়ে রপ্তানি নিশ্চিতকরণের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের অব্যাহত প্রচেষ্টার প্রশংসা জানানো হয়।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সেলিম রহমান বলেন, আমদানিকৃত এফসিএল কন্টেনারে চার গুণ হারে স্টোররেন্ট আদায়, ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ট্যারিফ বৃদ্ধি, জাহাজ বার্থিংয়ে বিলম্ব, এলসিএল পণ্য খালাসে দেরি, ইয়ার্ডে হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্টের স্বল্পতা এবং বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী জানান, মায়াসর্ক লাইন বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রতি মাসে প্রায় চারটি জাহাজের এলসিএল কন্টেনার আনস্টাফিংয়ে অতিরিক্ত সময় লাগায় নির্ধারিত সময়ে রপ্তানি জাহাজীকরণ ব্যাহত হচ্ছে এবং অতিরিক্ত ব্যয় তৈরি হচ্ছে।
বিজিএমইএ পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন, ৫ আগস্টের পরও বন্দর কর্তৃপক্ষের তীক্ষ্ণ নজরদারি ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ফলে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।
জবাবে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে বন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।” তিনি বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ডিজিটালাইজেশন ও সাইবার সিকিউরিটি সহ সক্ষমতা বৃদ্ধির বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরে সকল স্টেকহোল্ডারের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র পরিচালক সাকিফ আহমেদ সালাম, সাইফ উল্লাহ মনসুর, এনামুল আজিজ চৌধুরী, সাবেক পরিচালক ও কাস্টমস্ বিষয়ক উপদেষ্টা এ.এম. মাহাবুব চৌধুরী, পোর্ট বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কো–চেয়ারম্যান রায়ান শামস, বিজিএমইএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ, সচিব মো. ওমর ফারুক, পরিচালক পরিবহন এনামুল করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরো খবর দেখুন...
Leave a Reply