বুধবার (১৯ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে ইসি আয়োজিত সংলাপে বসে এসব সুপারিশ করে এনসিপি।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে ইসি আয়োজিত সংলাপে বসে এসব সুপারিশ করে এনসিপি।
তিনি বলেন, গণভোট কী প্রক্রিয়ায় হবে সেই সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা জানাবেন। এতে আমরা কাজ করতে পারবো। আপনাদের প্রস্তুতি নিয়ে সন্দিহান আছি। আপনাদের আমরা সহযোগিতা করবো। অন্যরাও সহঙোগিতা করলেও আমরা একটা ভালো নির্বাচন পাবো।
আমাদের নারীরা প্রতিদিন সাইবার বুলিয়ের শিকার হচ্ছে। এটা নিয়ে কাজ করবে হবে। তরুল প্রজন্ম যেহেতু অংশ নেবে উৎসবমুখর করতে বাহিনীগুলোকে অ্যাকটিভ করবেন। আরেকটা বিপ্লবের দিকে যেতে হলে আমাদের কারো জন্য সুখকর হবে না।
তিনি বলেন, প্লাস্টিকের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করে ব্যানার, ফেস্টুন ছটের করতে বলেছেন। এটা কয়টা দল পারবে। অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে। সে কিভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকায় এসে ছটে বা কাপড়ের ওপরে প্রচারণা ছাপাতে পারবে না। এতে কাঠামোগতভাবে পুরোনো এস্টাবলিস্টমেন্টের সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বিলবোর্ডের ক্ষেত্রে কাপড় দিয়ে কার এটা প্র্যাকটিকেল না। দলে ব্যয় ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে। এখন একটা বিলবোর্ড করতেই ২০ লাখ টাকা লাগে। এতে অন্যায্য প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন। এগুলো কিভাবে ব্যবস্থা কবরেন। একটা সুন্দর বিধি আপনারা করেছেন। কিন্তু আইনের ভেতরে অনেক অস্পষ্টতা এবং কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে।
এই নেতা বলেন, মাইকের ক্ষেত্রে ৬০ ডেসিবল শব্দের মাত্রার কথা বলেছেন। কিন্তু এটা মাপার যন্ত্র কী আছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে অস্ত্রের ঝনঝনানি নিয়ন্ত্রণ করে কিভাবে অন্য দলের প্রার্থীকে সুরক্ষা দেবেন। যে আইন করেছেন সেটা বাস্তবায়ন করার সক্ষমতা এবং সদিচ্ছা নাই আপনাদের।
তরুণ প্রার্থীদের জনগণের কাছে পৌঁছানের সুযোগ দিতে হবে। অবশ্যই আগের মন্ত্রী, এমপিদের সঙ্গে এক মঞ্চে বিতর্কের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। যারা পেশি বা কালোট টাকা বা অস্ত্র দিয়ে ভোট নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তাদেরও একই বৈঠকে বিতর্কের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, প্রবাসী ভোটারদের জন্য অঞ্চলভেদে পাঁচদিন সময় দেওয়া হয়েছে। এটা বাড়ানো দরকার। সব জোনের জন্য একই সময় ১৯ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর দেওয়া উচিত। এনআইডি বা পাসপোর্টের তথ্য নিবন্ধনের সময় কেবল স্ক্যান না করে ম্যানুয়ালিও যেন তথ্য দেওয়া যায়, সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। এজন্য একটা হেল্প লাইন ২৪ ঘণ্টা রাখতে হবে। এছাড়া এনআইডি বা পাসপোর্ট যে কোনো একটি দিয়ে যেন প্রবাসী ভোটাররা নিবন্ধন করতে পারেন, সে ব্যবস্থা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, নারীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। কিভাবে অভিযোগ দেবে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। মেটা, টিকটকের সমন্বয় প্রয়োজন যেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার রোধে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে সংলাপে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দলের নেতারা অংশ নেন।