নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতকানিয়া থানার পুরানগড় ইউনিয়নের শীলঘাটা গ্রামের নেলি বড়ুয়া, (পিতা-জয়দত্ত বড়ুয়া জোনা) বর্তমানে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি। বিবাহের পর তিনি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ঠেগরপুনি গ্রামে বসবাস করছেন। দুই সন্তানের জননী নেলি আজ কোলন ক্যান্সারের দ্বিতীয় ধাপে আক্রান্ত। এই রোগ নিরাময়যোগ্য, তবে প্রয়োজন সময়মতো চিকিৎসা এবং সমাজের সহানুভূতি। তার চোখে-মুখে বেঁচে থাকার আকুতি, আর পরিবারের মুখে অসহায় এক দীর্ঘশ্বাস।
নেলির পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক মাস আগে তার ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর থেকে চিকিৎসা চলছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে। এরইমধ্যে ১০টি কেমোথেরাপি সম্পন্ন হয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, নেলিকে আরও ৮টি কেমোথেরাপি ও বিভিন্ন ধরণের স্ক্যান ও পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন কমপক্ষে তিন লক্ষ টাকা।
নেলির স্বামী একজন গার্মেন্টস কর্মী। সীমিত আয়ে সংসার চালানোই যেখানে কঠিন, সেখানে স্ত্রীর ক্যান্সার চিকিৎসার ভার কাঁধে নেওয়া একপ্রকার অসম্ভব। শুরু থেকে তার চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার বহন করছেন ছোট ভাই সুমন বড়ুয়া, একজন মালয়েশিয়া প্রবাসী। তবে এখন তিনি নিজেও নিঃস্ব প্রায়। চিকিৎসা ব্যয়ের চাপ ও পারিবারিক দায়বদ্ধতায় তার পক্ষে আর কোনোভাবে খরচ চালানো সম্ভব নয়।
নেলির বাবা বলেন, “ছেলে অনেক করেছে, এখন আর পারছে না। মেয়েটা ধুঁকে ধুঁকে মারা যাচ্ছে, আমি কিছুই করতে পারছি না। সমাজ যদি পাশে না দাঁড়ায়, আমার মেয়েকে হয়তো আর বাঁচাতে পারব না।”
চিকিৎসকদের মতে, কোলন ক্যান্সারের দ্বিতীয় ধাপে নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়া হলে রোগী পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সময়মতো কেমোথেরাপি না পেলে ক্যান্সার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং তা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। অর্থাৎ, নেলির বেঁচে থাকার সুযোগ এখনো আছে—যদি পাশে দাঁড়ায় মানুষ, যদি সমাজের হৃদয়বান মানুষরা এগিয়ে আসে।
নেলির পরিবার দেশবাসী, প্রবাসী, সমাজের বিত্তবান এবং হৃদয়বান মানুষের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন—“মানবিকতার ডাকে সাড়া দিন। ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি নির্বিশেষে সকলে মিলেই তো একটি জীবন বাঁচাতে পারি। একটি সন্তান যেন তার মাকে হারাতে না হয়। একটি পরিবার যেন চিরতরে ভেঙে না পড়ে।”
✅ সাহায্য পাঠানোর উপায়:
📞 যোগাযোগ: পিপলু বড়ুয়া – 01305-953910
📱 বিকাশ (পার্সোনাল): 01305-953910
Leave a Reply