1. admin@nagoriknewsbd.com : admin :
  2. hossainkamrul92@gmail.com : Kamrul Hossain : Kamrul Hossain
রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:০১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
চট্টগ্রামে প্লাস্টিক পণ্যের গুদামে ভয়াবহ আগুন ভালবাসা দিবস: প্রেম ও সম্পর্কের অমলিন ঐতিহ্য চট্টগ্রামে বসন্তবরণ: আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা বাঙালি চট্টগ্রামে ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় সাবেক সিএমপি কমিশনার গ্রেপ্তার পাঁচলাইশে ড্যান্স পার্টিতে পুলিশের অভিযান: ২৫ জন গ্রেপ্তার মাঘী পূর্ণিমা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য, ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উদ্বেগ মাদক ও টিকিট কালোবাজারের সাথে জড়িত রেলের চিফ ইন্সপেক্টর আমান ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার চট্টগ্রামে সড়ক সংস্কারে গতি আনতে কড়া নির্দেশনা মেয়রের সিইপিজেডে প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলে শ্রমিক বিক্ষোভ
শিরোনাম :
চট্টগ্রামে প্লাস্টিক পণ্যের গুদামে ভয়াবহ আগুন ভালবাসা দিবস: প্রেম ও সম্পর্কের অমলিন ঐতিহ্য চট্টগ্রামে বসন্তবরণ: আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা বাঙালি চট্টগ্রামে ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় সাবেক সিএমপি কমিশনার গ্রেপ্তার পাঁচলাইশে ড্যান্স পার্টিতে পুলিশের অভিযান: ২৫ জন গ্রেপ্তার মাঘী পূর্ণিমা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য, ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উদ্বেগ মাদক ও টিকিট কালোবাজারের সাথে জড়িত রেলের চিফ ইন্সপেক্টর আমান ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার চট্টগ্রামে সড়ক সংস্কারে গতি আনতে কড়া নির্দেশনা মেয়রের সিইপিজেডে প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলে শ্রমিক বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম ছিন্নমুল এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

  • মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪

নাগরিক নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রামের ছিন্নমুলে এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতির , দোকান বাণিজ্য, শিক্ষক-কর্মচারীদের লাঞ্চিত করা, সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মের দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট অভিভাবক সদস্য এবং শিক্ষক প্রতিনিধিরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ,চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূলে পাঠদান একাডেমিক স্বীকৃত এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ । ২০১৩ সাল থেকে তিনি এই স্কুলের দায়িত্বে রয়েছেন। এই স্কুলের শিক্ষকতাকে পূজী করে দূর্নীতির সুযোগ নিয়ে হয়ে উঠেছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। যা অল্প বেতনের একজন স্কুল শিক্ষকের জন্য কঠিন হিসাব।

নাম প্রকাশ না করে এক শিক্ষক জানান , ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ঝুনু দাস চৌধুরী যখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন তখন তিনি সহকারী শিক্ষক হয়েও ছিন্নমুলের নগর সাধারন সম্পাদকের আস্থাভাজন হওয়ায় ম্যাডামকে প্রধান শিক্ষিকা না করে তিনিই হয়ে যান প্রধান শিক্ষক। তারপর থেকেই আর পিছনে তাকাতে হয়নি। স্কুলের উন্নয়ন ও এমপিও ভুক্তি করনের আড়ালে গড়ে তুলতে লাগলেন নিজের সাম্রাজ্য। তিনি আরো জানান, চট্টগ্রাম মহানগর ছিন্নমূল বস্তিবাসী সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদের নগর নেতাদের সন্তুষ্ট রেখে স্কুল পরিচালনায় নিজের ইচ্ছেমতো চালিয়ে এমন কোন দুর্নীতি নাই যা তিনি করেননি। স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বানিয়েছেন নিজের একান্ত ভাজন। নামে বেনামে গ্রামে ও শহরে গড়েছেন একাধিক প্লট, ফ্ল্যাট, দামী গাড়ি, মাইক্রো, বাইকসহ অনেক সম্পদ । অথচ স্কুল থেকে তার বেতন মাত্র চব্বিশ হাজার টাকা। যা দিয়ে বর্তমান সময়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় ।

 

সাবেক কমিটির কয়েকজন সদস্য বলেন, সীতাকুন্ডের ছিন্নমুল এখন প্রায় লক্ষাধিক মানুষের আবাসস্থল। রাজনৈতিক পরিবর্তনে এই এলাকায় নেতৃত্বের পরিবর্তন হয়। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সালাম নগর নেতৃত্বকে ম্যানেজের মাধ্যমে নিজের অবস্থান মজবুত রাখেন। তার অনেক দুর্নীতি সামনে আসলেও ছিন্নমুল নেতৃত্বের সাধারন সম্পাদক গাজী মশিউরের সুনজরে থাকায় তার বিরুদ্ধে কেউ আঙ্গুল তুলতোনা । বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতন হলে বেরিয়ে আসে এই শিক্ষকের অনেক দূর্নীতির বিষয়। জানা যায়, এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ছালাম ছিলেন একজন সামান্য বেতনের শিক্ষক থেকে বনে গেলেন কোটিপতি প্রভাবশালী শিক্ষক। এই স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, স্কুল হচ্ছে পাঠদানের জায়গা। যেখান থেকে জাতি শিক্ষার মেরুদন্ড অর্জন করে। সেই শিক্ষালয়কে সে বানিয়েছে তার কোটিপতি হওয়ার ব্যবসার স্থল। তিনি বলেন, এই প্রধান শিক্ষক ছাত্রছাত্রিদের জন্য বছর শুরুতে বেশী পরিমানে বই এনে বছর শেষে পুরাতন বই বিক্রি করতো, শুধু ২০২২ সালের দেড়টন বই বিক্রি করে তিনি আয় করেন ৩৫ হাজার ৬শ ১০ টাকা। তাছাড়া ছাত্রছাত্রীদের থেকে টিসির টাকা থেকে আয়, সার্টিফিকেট বিক্রি থেকে আয়, রেজিষ্টার কার্ড বিক্রি থেকে আয়, বছরে মাঝে মাঝে যেসব ছাত্রছাত্রিরা বেতন দিতে পারেনা সেসব শিক্ষার্থীদের থেকে (প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন)এর বকেয়া বেতন নিয়েও বছর শেষে মওকুপ হিসাব খাতে দেখানো, এমপিও ভুক্তির জন্য অর্থ আত্মসাত, সকল ছাত্রছাত্রিদের কাছে রেজাল্ট কার্ড বিক্রি থেকে আয়, ৮ম শ্রেণীর রেজিষ্ট্রেশন বাবদ ৩০০ টাকা করে নেয়া হয় যা সরকারীভাবে ফি মাত্র ৫০ টাকা, নবম শ্রেণী থেকে ১৫০০ টাকা যা সরকারীভাবে ১৭১ টাকা, এস, এস, সি পরিক্ষার কোচিং জন প্রতি ৫০০ টাকা করে নিলেও হিসাব দেখানো হয়না, জানা যায়, মোট সাত মাস কোচিংএ ১৪০ জন করে মাসে আয় সত্তর হাজার টাকা, জানা যায, প্রতি শিক্ষক সাত মাস কোচিং করিয়ে শুধু আট হাজার টাকা করে কোচিং ফি নেয়, আটজন শিক্ষক মোট নেয় ৬৪হাজার টাকা। সাত মাসে কোচিং থেকে আয় হয় ৪ লক্ষ নব্বই হাজার টাকা, এ থেকে ৬৪ হাজার টাকা বাদ দিলে বাকী ৪লক্ষ ২৬ হাজার টাকার বাকী অর্থ উনার পকেটে, ক্রিড়া, গার্ল গাইড, স্কাউট ফি বাবদ ৬ষ্ট, ৭ম, ৮ম, ৯ম ১০ম শ্রেনীর ছাত্র ছাত্রিদের থেকে নেয়া হয়। ৫৯০ জন ছাত্রছাত্রি থেকে মোট উত্তোলন করা হয় এক লক্ষ সাতাত্তর হাজার টাকা, মধ্যে যার দশ হাজার টাকা জমা দিয়েছে সীতাকুন্ড অফিসে, পনের হাজার টাকা ছাত্রছাত্রিদের উপহার বাবদ কিনে, বাকী এক লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক নিজের পকেটেই রাখেন। এস এস সি পরিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ফি ১৫০ জন শিক্ষার্থী থেকে উঠে ত্রিশ হাজার টাকা যা বিদ্যালয় ফান্ডে জমা হয় না। ছাত্রছাত্রিদের কল্যানে করা দরিদ্র ফান্ডের টাকা ২০১৬ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত কোন টাকার হিসাব না দিয়ে হিসাবটি এখন বন্ধ হয়ে আছে। রবি ও গ্রামিন টাওয়ার থেকে বছরের প্রাপ্ত ভাড়া ৭০ থেকে আশি হাজার টাকার কোন হিসাব স্কুল ফান্ডে উঠেনা। তাছাড়া স্কুল পরিচালনার জন্য ৩৮টি দোকান, এই সব দোকানের কোন হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। এইভাবে বছরে প্রায় ত্রিশ লক্ষাধিক টাকা এই প্রধান শিক্ষক বেতনের বাইরে নিজে আয় করেন। তাছাড়া প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বের মধ্যেও একটা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে চাকুরী করেন, অনেক সময় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জোড় করিয়ে বীমা করান। স্কুলের পরিচালনা কমিটিকে নিজের চাতুর্যে ম্যানেজ করেন। ২০১৫ সালে এই স্কুলে পড়া সাবেক একজন ছাত্র ইমাম হোসেন বলেন, স্যারের শুরুর জীবন থেকে বর্তমান অবস্থা সবই দেখেছি। প্রথম জীবনে স্যারের এত দাপট দেখেনি এখন যেভাবে দেখছি। স্যারের বিরুদ্ধে কারুর কথা বলারই সাহস নাই। আমরা জানি উনার হাত অনেক উপরে। সেজন্য উনার বিষয়ে কেউ টুশব্দটিও করেননা। আমি ২০১৯ সালে স্টুডেন্ট লাইব্রেরির পরিচালক ছিলাম। আমার প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সময় দেখেছি স্যার বই এক দামে কিনে ছাত্রছাত্রীদের কাছে বেশী দামে বিক্রি করতেন। যার প্রমান স্বরুপ কয়েকজন ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্যর কয়েকটি ভিডিও রেকর্ড প্রতিবেদকের হাতে দেন। তিনি বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সালাম মাষ্টার তার নিজের বাসায় ও স্কুলে গাইড বই বিক্রি করতেন। স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ১০০০ আছে বলে প্রতি বছরই বিভিন্ন গাইড প্রকাশনী থেকে এককালিন ১লক্ষ থেকে ৩লক্ষ চুক্তিভিত্তিক নিতেন। চুক্তি ভিত্তিক হওয়ায় স্কুলে বুক লিস্টের মাধ্যমে গাইড বিক্রি করতেন। তিনি আরো জানান জে.এস.সি ও এস.এস.সি শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন এর ফী অন্য স্কুলের তুলনায় অতিরিক্ত নেওয়া হত প্রতিবছর। রেজিষ্টেশন ফী বাবদ অতিরিক্ত ফী ২০১৩-২০১৪ সেশন থেকে ৯ম ও ১০ম এর জন্য ৬৫০০ টাকা নেন। তিনি স্কুলের কোচিং ভিক্তিক ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা নেন। সে সাথে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের নিকট হতে ট্রান্সকিপ, সার্টিফিকেট, প্রশংসাপত্রের বাবদ আলাদা আলাদা করে ৫০০ টাকা নেন যা সম্পূর্ণ বিনামুল্যে পাওয়ার কথা। এই বিষয়ে কোন অভিভাবক কথা বললে তা নিয়ে সে অশুভ আচরন করেন। এই বাড়তি ফি গুলো আমিও দিয়েছি। এখনতো শুনেছি স্যার স্থাবর ও অস্থাবর নামে বেনামে অনেক সম্পত্তির মালিক। এতদিন উনার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পর্যন্ত পায়নি। আমি জানতাম, কেউ প্রতিবাদ করলে নগর কমিটির নিরবতায় বিভিন্ন মাধ্যমে তা সমাধান করে নিতু। ছিন্নমুলে ২০০০-২০২৪ সালের নগর কমিটিতে যে সকল স্থায়ী নেতৃবৃন্দ ছিল সকলকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ভূমিদস্যু সহ বিভিন্ন সংবাদ পরিবেশন হলেও উনার নামে কেউ লিখতে সাহস করেনি। অথচ তাদের সাথে পরোক্ষভাবে তিনিও ল্যান্ড বেচাকেনায় সহযোগী ছিলেন। তিনি একটা স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে এত বড় দায়িত্বের মাঝে বীমা কোম্পানীতে এএমডি হিসাবে দায়িত্ব কিভাবে পালন করেন কিভাবে তা বুঝতে পারছিনা, সেই সাথে সুশীল সমাজের কয়েকজনকে নিয়ে ছিন্নমুলসহ শহরে ল্যান্ডের ব্যবসা করেন। স্কুলের সকল শিক্ষককে উনি এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন কেউ তার ভয়ে কথা বলতে পারেনা। শুনেছি স্কুল সংক্রান্ত কাজগুলো তিনি সব শিক্ষকদের দিয়ে করিয়ে নেন। আমি বর্তমানে ফার্মেসি ব্যবসা করি। অনেক শিক্ষক আমাকে বিশ্বাস করে উনার স্বেচ্ছাচারীতা সম্পর্কে অনেক কথা দুঃখ করে বলেন। প্রকাশ্যে বলতে সাহস করেন না। স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকদের বেতন দিতে দেরী হলে অভিভাবকদের সাথে অশুভ আচরন করেন কিন্তু সম্মানের ভয়ে সবাই নিরব ভূমিকা রাখেন ।

প্রিয় পাঠক– এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের আরও ফিরিস্তি দ্বিতীয় পর্বে দেখুন

এই স্কুলের একজন শিক্ষক তথ্য মতে জানা যায়, ছিন্নমুলে ও বাইরে নামে বেনামে অনেক সম্পদ করে বর্তমানে প্রভাবশালীর তালিকায় আছেন তিনি। উনি যেন আলারদিনে চেরাগ পেয়েছেন।চট্টগ্রাম মহানগর ছিন্নমূল বস্তিবাসী সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদের অর্থ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম হামিদী বলেন, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই স্কুলের আমরা একটি অডিট করেছিলাম সেখানে শুধু ব্যায়ের খাতে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা তিনি আত্মসাত করেছেন। ব্যায়ের খাত হিসাব গুলোতে অনেক গড়মিল করেছেন। অল্প টাকার ভাউচারকেও তিনি বেশী টাকার ভাউচারে রুপান্তর করেছেন। যার ডকুমেন্ট আমার কাছে আছে। আর আয়ের খাত অনেক, সময়ের কারনে আমরা সব অডিট করতে পারিনি। যতটুকু শুনেছি যদি আয়ের খাত ধরা হয় তাহলে বিগত ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চারবছরেই সে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাত করেছে। সে সময় গাজী মশিউর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন, তিনিই এই শিক্ষকের বিষয় হেডেলিং করেছেন। এক সময় এই শিক্ষকের কিছুই ছিলনা। এখন তিনি এই শহরের ধনাঢ্য ব্যাক্তিদের একজন।

এ বিষয়ে ছিন্নমুল সভাপতি গাজী সাদেককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রথম যখন ছিন্নমুলে তিনি আসেন তখন ১২০০ টাকা দামের ঘুরে ভাড়া থাকতেন, কোচিং করাতেন। এখনতো উনি অনেক টাকার মালিক। স্কুলের জমি বন্দোবস্তী ও উন্নয়নের স্বার্থে তাকে আমরা এসব নিয়ে তেমন একটা চাপ দিতামনা। একবার স্কুলে আয় ব্যায়ের অডিটের আয়োজন করেছিলাম, রহস্যজনক কারনে সেটিও সঠিক সময়ে উপস্থাপন হয়নি। স্কুলের অধিনের দোকানগুলোর ভাড়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এই বিষয়টা সালাম মাষ্টার ও গফুর মেম্বার ভালো বলতে পারবে। স্কুলের বিষয়ে সালাম মাষ্টারকে আমরা অনেক বিশ্বাস করতাম।

এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি ২০১৩ সাল থেকে এই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। শিক্ষকতাকালীন এই স্কুলে আমার কোন দূর্নীতি নেই। বই বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, ২০২২ সালে পুরানো বই ১৭হাজার টাকার পুরানো বই বিক্রি করেছি। রেজিষ্ট্রেশন ফি বাবদ তুলনামুলক অন্য স্কুলের চেয়ে আমরা তুলনামুলক অনেক কম নেই। ৩৮টা দোকান থেকে স্কুল এখনো পর্যন্ত কোন ভাড়া পায়নি। কারা ভাড়া তুলে আমি জানিনা। আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি ইন্স্যুরেন্সে কাজ করি, ল্যান্ডের ব্যবসা করি। সেভাবেই সম্পদ কামিয়েছি। শিক্ষকতার বড় দায়িত্বের মাঝে এসব কখন করেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা আমার জন্য কোন ব্যাপার না। স্কুল পরিচালনার স্বচ্চতা নিয়ে তিনি বলেন, মশিউরের আমলে ৫সদস্য বিশিষ্ট একটি অডিট কমিটি হয়। যে কমিটি এখনো কোন রিপোর্ট দিতে পারেননি। এটা তাদের ব্যর্থতা। কেউতো আমার দুর্নীতি প্রমান করতে পারেনি। এমপিও ভুক্তির জন্য যে টাকা স্কুল ফান্ড থেকে নেয়া হয়েছে সেই টাকা কোন খাতে ব্যায় হয়েছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সেগুলো খরচ হয়েছে, তবে স্কুল এমপিওভুক্ত হয়নি। আমি স্কুলের উন্নয়নে সবসময় নজর দিয়েছি।

প্রিয় পাঠক– এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের আরও ফিরিস্তি দ্বিতীয় পর্বে দেখুন

এই পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর দেখুন...
© All rights reserved © 2024 nagoriknewsbd
Theme Customized By BreakingNews