বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে পাখি খাঁচায় বন্দি ও হত্যা বন্ধের দাবিতে দেশব্যাপী প্রচারনা চালানোর অংশ হিসেবে বোয়ালখালী উপজেলা বিপ্লবতীর্থ সারোয়াতলী গ্রামে অদ্য ২৪মে ২০২৫ শনিবার বিকাল ৩ ঘটিকায় গ্রামের জনসাধারণকে সাথে নিয়ে পরিষদের সদস্য এীদিপ চৌধুরী’র সঞ্চালনায় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সিঞ্চন ভৌমিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য বাসুদেব চৌধুরী অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, তপন চৌধুরী, স্বপন চৌধুরী, বরুণ চৌধুরী, সহদেব চৌধুরী, আব্দুল হক, দীপু চৌধুরী, তপন ঘোষ,বাবুন চৌধুরী, মনা চৌধুরী, দিদারুল আলম। বক্তারা বলেন, পাখি মানুষের উপকারী বন্ধু। পাখি শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করেনা, ক্ষতিকর পোকা মাকড় খেয়ে খাদ্যশস্য উৎপাদনে প্রতিনিয়ত আমাদেরকে সহযোগিতা করে থাকেন। পাখি হত্যাকারী মানুষের জাতীয় শত্রু। পাখি হত্যাকারী দেখলে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান বক্তারা। পাখি হত্যার জন্য প্রশাসনের নীরব ভূমিকাকে দায়ী করছেন। শখ করে খাঁচায় পশু—পাখি বন্দী করে রাখা অমানবিক। খাঁচায় বন্দী জীবনে সে না পায় খাবার, না হয় তার জৈবিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা। আমাদের দেশে খাঁচায় বন্দী পাখি বিক্রী করা বন্দ করতে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেন। আমাদের দেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড। একই অপরাধ পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুই বছর জেল দুই লাখ টাকা জরিমানা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। বাস্তবে এই আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন বক্তারা। পরিশেষে, বক্তারা শ্লোগানের মাধ্যমে খাঁচায় পাখি বন্দী ও হত্যা বন্ধের দাবিতে স্থানীয় জনগণকে উজ্জীবিত করেন।
পাখি হত্যা বন্ধ কর, পাখির মতো জীবন গড়,
মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই,খাঁচার পাখি মুক্তি চাই।
Leave a Reply