এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করেছে। পরীক্ষার খাতা না কেটে রেজাল্ট দেওয়ার অভিযোগে তারা এই ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে।
বৃহস্পতিবার সকালে থেকে বোর্ডের সামনে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। খাতা না কেটেই বোর্ড কর্তৃপক্ষ মনগড়া রেজাল্ট দিয়েছে। চট্টগ্রাম বোর্ডের ইংরেজি প্রশ্ন সহজ আসার পরেও তাদেরকে গণহারে ইংরেজিতে ফেল করিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও সিলেট বোর্ডে মাত্র দুই বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে সবাইকে পাস করানো হয়েছে অথচ চট্টগ্রাম বোর্ডে সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন করা হয়নি। এসময় সঠিকভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হয়নি বলেও দাবি করেন তারা।
বাজালিয়া কলেজের শিক্ষার্থী প্রিয়রাজ বড়ুয়া বলেন, খাতা ভাল করে মূল্যায়ন করনি, আমাদের সাথে বৈষম্য করা হয়েছে। আজকে আমরা আন্দোলন করছি বলে আমাদেরকে মারার জন্য সমন্বয়কদের ডেকে আনা হয়েছে।
ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শাহিদা আক্তার বলেন, ‘দুই বিষয় মিলে কীভাবে মাত্র ৩ পায়? যেখানে আমার মেয়েটা সবসময়ই ভালো রেজাল্ট করে আসছে। এই রেজাল্ট কোনোভাবেই আমরা মানিনা। খাতা না কেটেই ওরা রেজাল্ট ঘোষণা করছে। বাচ্চাদের সঙ্গে অন্যায় করেছে। আইসিটি পরীক্ষা খুব ভালো হয়েছে তারপরও ফেল দেখিয়ে দিয়েছে। এটাকে কি সঠিক মূল্যায়ন করা বলে?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক আমিরুল মোস্তফা বলেন, ‘যারা খারাপ করছে তারা এসে আন্দোলন করছে। তারা বলছে যে সিলেট বোর্ড দুই বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাস করেছে আমরা সাত বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে কেন খারাপ করলাম। তারা আসলে তাদের মতো করে দাবি তুলছে। কিন্তু তারা পরীক্ষা দিয়ে যদি রেজাল্ট খারাপ করে তাহলে আমাদের কি কিছু করার আছে।’
যেখানে ৬৬তে পাস, সেখানে ৭৬ পাওয়ার পরেও ফেল আসার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘যদি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এমসিকিউ থাকে আর ৩০ নম্বরের প্রশ্নে একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ১০ পেতে হবে। কিন্তু সে যদি এখানে কম নম্বর পায় কিন্তু মোট নম্বরে যদি ৮০ বা নব্বইও পায় তাও ফেল আসবে। তাই শিক্ষার্থীকে লিখিত এবং এমসিকিউতে আলাদা আলাদা পাস করতে হবে। এখন কেউ যদি কোনো একটা বিষয়ে খারাপ করে তাহলে ফেল আসবে। এখানে কারও কোনো হাত নাই। যে যেভাবে পরীক্ষা দিয়েছে তেমন ফলাফলই পেয়েছে। তারপরও যদি কারও আশানুরূপ ফল না পায় তাহলে তো অবশ্যই তা পুনঃনিরীক্ষণ করার সুযোগ আছে। আর পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করে আবার রেজাল্ট দেওয়া হবে।
Leave a Reply