1. admin@nagoriknewsbd.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন

হারবাং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে রোগীদের চরম ভোগান্তি

  • বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৮৬ গননা করুন

চকরিয়া প্রতিনিধিঃ রোগী আছে ডাক্তার নাই এ যেন চরম সত্য কথা ,কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাস্থ হারবাং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। সরকার সবকিছুর যোগান দিলেও কর্তব্যরত চিকিসৎকের দায়িত্বের উদাসীনতা, সময়মতো স্বাস্থ্য কেন্দ্রে না আসা, গর্ভবর্তী মহিলার নরমাল ডেলিভারী সেবা থাকলেও সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া , অনিয়মিতভাবে ডিউটি করা এখানে নিয়মে পরিণত হয়েছে । এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অনিয়মই যেন এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

সূত্রে জানা যায় ,চকরিয়া উপজেলার হারবাং ৩৮ মসজিদ, মন্দির, ১১ট বিহার ও ১ গীর্জায় বেষ্টিত প্রায় ৪৫ হাজার জনসাধারণের জনবল ইউনিয়ন। শিক্ষা-দিক্ষায় এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে আছে স্বাস্থ্যসেবায়। চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গর্ভবর্তী মহিলার নরমাল ডেলিভারী সেবা থাকলেও হারবাং ইউনিয়নবাসী নেই অধিকার থেকে বঞ্চিত। গত রবিবার হারবাং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে সাড়ে ১১ টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, একান মেডিকেল অফিসার, একান উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন অফিস সহায়ক নির্ধারিত থাকলেও অফিস সহকারী ছাড়া হাসপাতালে কেউ নাই।  সহকারীর টেবিলের উপর পড়ে থাকা দৈনিক হাজিরা খাতা খোলে দেখলে সেখানে প্রায় দুই মাস ধরে ডা: সুজন ত্রিপুরা অনুপস্থিত। অন্যদিকে অসংখ্য রোগী সেবা না পেয়ে দীর্ঘক্ষন দাড়ি আছে, এবং কেউ কেউ হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে।

সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী অনেক রুগী জানান, হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম ও অসংগতির কথা । সেবা নিতে আনা শিখা নামের একজন গর্ভবতী মহিলা বলেন, আমি টানা চারদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলাম, কিন্তু কোনো ডাক্তার না থাকায় প্রতিদিন ফেরত যেতে হচ্ছে। জ্বর ও চুলকানির চিকিৎসা নিতে মহিলা বলেন, এমনিতে ডাক্তার থাকে না, তারমধ্যে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার তানিমুল হাসান মাঝে মধ্যে আসলেও তিনি আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে। রোগীদের গালি-গালাজ করে, এবং বাচ্চা রোগী দেখলে খারাপ মেজাজ দেখায়।

স্থানীয় অনেকেই জানান, হারবাং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে নিয়মিত নরমাল ডেলিভারি সেবা চালু, নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা নিয়মিত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। চিকিৎক কে এখানে নিয়োগ দেখিয়ে বেতন-ভাতা নিবে, কিন্তু সেবা দিবে না তা হতে দেবো না। খারাপ আচরণের অভিযোগের তানিমুল হাসান বলেন, আমি কোনো রোগীকে কখনো গালাগালি করিনি, করবোও না।

হারবাং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা: সু ত্রিপুরা বলেন, আমার ডিউটি সাপ্তাহে দুইদিন, সেই নির্ধারিত দিনে অফিসে থাকি, আবার সাক্ষর নাই কেন প্রশ্ন করে বলেন, একবার বলেন কোনো ইউনিয়ন স্ব কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার যায় না। আবার বলে হাজিরা খাতা তানিমের অফিসে থাকায় করতে পারি না।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: শোভন দত্ত বলেন, বিষয়টি খবর নিয়ে দেখবো, তিনি যদি ডিউটি না করে থাকেন তাহলে উক্ত দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ ডিউটি করিয়ে নেয়া হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর দেখুন...
© All rights reserved © 2024 nagoriknewsbd
Theme Customized By BreakingNews