চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ৭০০টি জবাই করা পাখি সরবরাহের সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতের দিকে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে পুলিশের একটি চেকপোস্ট অভিযানের সময় সিএনজি-চালিত অটোরিকশা থেকে তাদের আটক করা হয়। পুলিশের তথ্যানুযায়ী, পাখিগুলো শিকার করে জবাই করার পর সেগুলো নগরীর বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে সরবরাহের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—পটিয়া উপজেলার শোভনডন্ডী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. সায়েদুল আলম (৬০), মো. ইদ্রিস (৬৫) এবং মো. সোহেল (৩০)।
তল্লাশির সময় অটোরিকশা থেকে তিনটি বস্তা পাখি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে একটিতে ছিল ১৩৫টি শালিক (কমন মাইনা), আরেকটিতে ৪২২টি চড়ুই (হাউস স্প্যারো), এবং তৃতীয় বস্তায় ছিল ১৪০টি বাবুই (বায়া উইভার)। মোট ৬৯৭টি পাখি জবাই করা অবস্থায় পাওয়া যায়।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে যে, ইছামতি নদীর তীর ও আশপাশের এলাকা থেকে পাখিগুলো শিকার করে জবাই করা হয়। এরপর চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে সরবরাহের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এই পাখির মাংস বিভিন্ন নামে রান্না ও বিক্রি করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, এভাবে বন্যপ্রাণী শিকার ও হত্যা করা অত্যন্ত অমানবিক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বুধবার (৫ মার্চ) আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, বন্যপ্রাণী শিকার একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। ১৯৭৪ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইন ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে পাখি হত্যা করলে এক বছরের কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। পুনরায় অপরাধ করলে শাস্তি দ্বিগুণ হতে পারে।
Leave a Reply