হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো শাখায় ঘটা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে ১৫টি ফ্লাইট ডাইভার্ট করতে হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে কুর্মিটোলায় বেবিচক সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক।
তিনি বলেন, যেদিন আগুন লাগে সেদিন দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে আমরা সর্বশেষ বিমান চলাচলের কার্যক্রমটা করি। এরপর নিরাপত্তার স্বার্থে রাত ৯টা পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখি।
৯টার পর আমরা আবার আমাদের বিমান চলাচলের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করি। এর মধ্যে ১৫টি ফ্লাইট আমাদের ডাইভার্ট করতে হয়।
যার মধ্যে ৮টি চট্টগ্রামে, ২টি সিলেটে, ৪টি কলকাতায় ও ১টি কাঠমান্ডুতে ডাইভার্ট করা হয়। ডাইভার্ট করা এসব ফ্লাইটের মধ্যে ৩টি ছিল ডোমেস্টিক, ১১টি আন্তর্জাতিক ও ১টি ছিল কার্গো ফ্লাইট।
মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় যেসব যাত্রীরা আটকে পড়েছিলেন, পরদিন বিকেল ৪টার মধ্যে সবগুলো ব্যাক লগ ক্লিয়ার করা হয়। এরপর থেকে আমাদের বিমান চলাচল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বিমানবন্দরের কার্গো অপারেশন আমরা একদিনের জন্যও বন্ধ করিনি। ইমপোর্ট কার্গো সেকশন আগুনে পুড়ে যাওয়ায় আমরা আপাতত ৯ নম্বর গেট দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ইমপোর্ট কার্গো শাখাটি পরিচালিত হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, কাস্টমস, সিআন্ডএফ এজেন্ট ও কুরিয়ার এজেন্টদের মাধ্যমে। সেখানে ৮ নম্বর গেট দিয়ে ঢোকার বিষয়টি আমরা বেবিচক নিয়ন্ত্রণ করি। তারপর যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে আমাদের ১৪০টির মতো ফায়ার এক্সটিংগুইশার ছিল। আগুন লাগার আগে থেকেই প্রতিদিন আমাদের ফায়ার ফাইটাররা অগ্নিনির্বাপণের অনুশীলন করে।
মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের অনেকগুলো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমাদের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এসব তদন্ত কমিটির মাধ্যমে দ্রুত সম্ভব আমরা আগুন লাগার কারণ ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানতে পারবো।