1. admin@nagoriknewsbd.com : admin :
  2. hossainkamrul92@gmail.com : Kamrul Hossain : Kamrul Hossain
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
পাখি খাঁচায় বন্দি ও হত্যা বন্ধের দাবিতে পথসভা ষড়যন্ত্র চলবে, ত্যাগীরা টিকে থাকবে—সাতকানিয়ায় মেয়র শাহাদাত ক্যান্সারে আক্রান্ত শীলঘাটার নেলি বড়ুয়া, বাঁচতে চায় সমাজের সহানুভূতিতে পাখি খাঁচায় বন্দি ও হত্যা বন্ধের দাবিতে পথসভা ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট চেস ক্লাবের উদ্যোগে দাবা টুর্নামেন্ট২০২৫ অনুষ্ঠিত সিস্টেম গ্রুপকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিশেষ সম্মাননা প্রদান চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেপি ইনোভেটিভ কোচিং সেন্টারের দুই যুগ বর্ষপূর্তি উদযাপন নৌকা চৌধুরী এখন বিএনপির নেতা! চান্দগাঁও র‌্যাব-৭ ক্যাম্প থেকে র‌্যাব সদস্যের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার মেরিনারদের সংগঠন নটিক্যাল ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম শাখার ২০২৫-২০২৬ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন
শিরোনাম :
পাখি খাঁচায় বন্দি ও হত্যা বন্ধের দাবিতে পথসভা ষড়যন্ত্র চলবে, ত্যাগীরা টিকে থাকবে—সাতকানিয়ায় মেয়র শাহাদাত ক্যান্সারে আক্রান্ত শীলঘাটার নেলি বড়ুয়া, বাঁচতে চায় সমাজের সহানুভূতিতে পাখি খাঁচায় বন্দি ও হত্যা বন্ধের দাবিতে পথসভা ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট চেস ক্লাবের উদ্যোগে দাবা টুর্নামেন্ট২০২৫ অনুষ্ঠিত সিস্টেম গ্রুপকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিশেষ সম্মাননা প্রদান চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেপি ইনোভেটিভ কোচিং সেন্টারের দুই যুগ বর্ষপূর্তি উদযাপন নৌকা চৌধুরী এখন বিএনপির নেতা! চান্দগাঁও র‌্যাব-৭ ক্যাম্প থেকে র‌্যাব সদস্যের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার মেরিনারদের সংগঠন নটিক্যাল ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম শাখার ২০২৫-২০২৬ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন

হাসিনার জন্য তৈরি বিলাসবহুল অতিথিশালা এখন গলারকাঁটা

  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত “কর্ণফুলী টানেল” ২০২৩ সালের অক্টোবরে উদ্বোধনের পর থেকেই এই টানেল নিয়ে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে, বিশেষ করে এর প্রকল্প ব্যয়ের লাগামহীন বৃদ্ধি এবং বিলাসবহুল অতিথিশালা নির্মাণের মতো বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

বিশেষ করে টানেলটি এখন শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তিগত সফলতা নয়, বরং একটি আর্থিক সঙ্কট এবং বিলাসী রাজনৈতিক প্রকল্পের প্রতীক হিসেবেও আলোচনার শীর্ষ কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, টানেল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত অতিথিশালাটি প্রায় ৪৫০ কোটি টাকায় তৈরি হয়েছে, যেখানে রয়েছে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ৬টি কক্ষ, একটি সুইমিংপুল এবং উন্নত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। এটি চট্টগ্রামের আনোয়ারা প্রান্তের পারকি খালের পাশে অবস্থিত, এবং এটি নির্মাণ করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য সফরের জন্য। তবে, অতিথিশালাটি এখনও ব্যবহার করা হয়নি এবং সেতু বিভাগ জানিয়েছে, এখানে পর্যাপ্ত জনবল নেই।

আরও জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় একটি সার্ভিস এরিয়া নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে অতিথিশালার পাশাপাশি রয়েছে ৩০টি বিশ্রামাগার, একটি সম্মেলনকেন্দ্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মসজিদ, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে একটি জাদুঘর। পুরো এলাকা অত্যন্ত বিলাসবহুল ও আধুনিকভাবে সাজানো হয়েছে।

অন্যদিকে—মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে পর্যটন করপোরেশন ৭৯ কোটি টাকায় একটি আধুনিক পর্যটন কমপ্লেক্স নির্মাণ করছে, যা অতিথিশালার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আরও প্রশ্ন তুলছে। টানেলটি চালুর পর গাড়ির চলাচল আশানুরূপ হয়নি। ২০২৩ সালের অক্টোবরে দৈনিক গড়ে মাত্র সাড়ে তিন হাজার যান চলাচল করেছে, অথচ প্রকল্প সমীক্ষায় বলা হয়েছিল দিনে অন্তত ২০ হাজার যান চলবে।

এর ফলে টোল আদায়ের পরিমাণও কমেছে, মাসে গড়ে আড়াই কোটি টাকা টোল আদায় হচ্ছে, কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা, ফলে মাসে গড়ে সাড়ে ৯ কোটি টাকার ঘাটতি হচ্ছে। কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের ব্যয়ের পূর্ব নির্ধারিত পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা, কিন্তু জমি অধিগ্রহণ ও অন্যান্য কারণে তিন দফায় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে তা ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

অতিথিশালা ও অন্যান্য অবকাঠামোর নির্মাণেও ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার টানেলের লোকসান কমানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যেমন চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার এবং বান্দরবানমুখী বাসের টানেল ব্যবহারের নিশ্চয়তা এবং আনোয়ারায় শিল্পায়ন।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, টানেলটি আগামী পাঁচ থেকে সাত বছর পুরোপুরি ব্যবহার হবে না এবং এর মাধ্যমে আয় রক্ষণাবেক্ষণ খরচের এক-চতুর্থাংশও উঠবে না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, এই টানেল প্রকল্পে অতিথিশালার প্রয়োজন ছিল না, বরং এটি দুর্নীতির একটি উদাহরণ।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহাইব বলেন, প্রকল্পের শুরুতেই অর্থনীতিবিদরা বলেছিলেন এটি একটি সাদা হাতি হবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী বলেন, এই প্রকল্পের আর্থিক সঙ্কট সরকারের জন্য একটি শিক্ষা। অপ্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের আগে এর যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করা জরুরি।

উল্লেখ্য—কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পটি ২০২৩ সালের অক্টোবরে চালু হয়। প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল চট্টগ্রাম নগরকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কক্সবাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করা। প্রাথমিক পরিকল্পনায় এটি চট্টগ্রামের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে টানেলের ব্যবহার প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম।

টানেলটি দিয়ে বর্তমানে দৈনিক গড়ে সাড়ে তিন হাজার যানবাহন চলাচল করছে। অথচ প্রকল্পের সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছিল যে, টানেল চালু হলে দিনে ২০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করবে। যানবাহনের সংখ্যা কম থাকায় টোল আদায়ের আয়ও কম। টানেলের মাসিক আয় মাত্র আড়াই কোটি টাকা, যেখানে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা। এর ফলে মাসিক গড়ে প্রায় ৯ কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর দেখুন...
© All rights reserved © 2024 nagoriknewsbd
Theme Customized By BreakingNews